Saturday, November 24, 2007

তুমি ০৭

পরে কথা হবে। জানো তো শনিবারে সময় কিভাবে কেটে যায় টেরও পাইনা। এত্তো কাজ! বিরক্ত হয়ে উঠছি। কিছুক্ষন তোমার সাথে কথা বলতে পারলে ভাল লাগতো। রিফ্রেশ হয়ে উঠতাম।
সে সুযোগ তো আর নেই। তুমি কোথায়, কোন দেশে আছো কে জানে?
আজ হয়েছে কী শুনো-অনেক দিন পর স্বর্নার খোজ নিতে গিয়ে উল্টো ঝামেলায় পড়েছি। ছেলেমানুষী সব কাজকারবার। আপনি এটা করলেন কেন? আপনি এটা করলেন না কেন? এটা কী ঠিক হয়েছে?এমন হাজারো প্রশ্ন। তুমি তো জানো কৈফিয়ত দেয়াটা একেবারেই পছন্দ নয় আমার। আমার জীবন যেভাবে ইচ্ছে এগিয়ে যাবে, তাতে কার কী? ভাল লাগেনা এইসব।
একটু পর অর্নিকে ফোন করে মনটা খুব, খুব খারাপ হয়ে গেলো। টেলিফোনের অপর প্রান্ত থেকে ওর গলা শুনেই বুঝে গেলাম - অসুস্থ। কথা বলতেই কষ্ট হচ্ছিল ওর! এতো প্রানবন্ত কেউ এভাবে চুপ হয়ে গেলে একেবারেই ভালো লাগেনা। সারাদিন নাকি বিছানাতেই শুয়ে আছে। সোজা হয়ে দাড়াতে পারছে না! তারপরও অর্নির অনুরোধ 'কাল একবার দেখা কর আমার সাথে। তোর তো ডে অফ, ইচ্ছে করলেই পারবি। অনেক কথা আছে। কতোদিন হলো তোকে দেখিনা। আসবি তো?'
-রাতে জানাবো বলে ফোন রেখে দিলাম।
স্বর্না আর অর্নি দুজনই আমার খুব ভালো বন্ধু। তাদের নিয়ে আরো কথা আরেক দিন বলবো।
ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে আমার। বুঝেছো তো শনিবার, রেহাই নেই!রাত ১২ পর্যন্ত এভাবেই চলবে।
তোমার এসব ভেবে কাজ নেই। এখন গান শুনো। লোপামুদ্রার গান...

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

Tuesday, November 6, 2007

তুমি ০৬

কথা কম হলেই কী ভালবাসা কমে যায়?
তোমার এমন প্রশ্নের জবাবে আমারও পাল্টা প্রশ্ন- কী আমার আচরনে এমন কিছু পেলে নাকি?
কি জানি!
-তোমার কন্ঠ শুনে মনে হলো দ্বিধায় পড়ে গেছো।
আমি এই কাজটা সবসময়ই দক্ষ ভাবে করে যাচ্ছি। মানুষকে কতো সহজে দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছি। সেটা যে পুরোটা ইচ্ছেকৃত তা নয়। মেরুনের কথা কী তোমাকে বলেছিলাম? যদি বলে থাকি তারপরও আবার শোনো-
হুট করেই একদিন অনলাইনের ওর সঙ্গে পরিচয়। ইয়াহু চ্যাটিংয়ে যেমনটা হয়- মেয়েদের আইডি দেখলেই হাই হ্যালো একটা কিছু করি। ফারজানা মেরুন আইডি দেখে তাই করলাম। সাড়া পেলাম অনেকক্ষন পর। এক কথা দুই কথা হলো। এভাবে কী মনে করে জানি মেয়েটা তার ফোন নম্বর আমাকে দিলো। কথাও হলো। কিন্তু আহামরী কিছু মনে হলো না। উল্টো মেয়েটো যখন আমাকে ৫০ টাকা ফ্লেক্সি লোড করতে বললো, তখন বুঝে গেলাম ভুল জায়গায় নক করেছি আমি। কিন্তু আমি কেমন সেটা তো তুমি জানো- দেখে নিতে চাইছিলাম মেয়েটির পরিকল্পনা!ঠিকই ১০০ টাকা পাঠালাম। এরপর ফোন করে মেয়েটা থ্যাংকস, টেংকস বললো।ভাইয়া টাকাটা আমার দরকার ছিল, না হলে অনেক বিপদে পড়ে যেতাম ইত্যাদি ইত্যাদি... শোনলাম আর মনে মনে স্থির করলাম- ফারজানা মেরুন তোমাকে গুডবাই।
এসব ২০০৬ এর ঘটনা। এক বছর পেরিয়ে যখন ২০০৭ তখন হুট করেই মেয়েটির কথা মনে পড়ে গেলো। মনে পড়ে গেলো না বলে বলা উচিত মনে করিয়ে দিলো আমার পুরনো সেল ফোন। নতুন সেল ফোন নেয়ার পর যখন নাম্বার গুলো উঠাচ্ছিলাম তখনই দেখলাম আবার ফারজানা মেরুনের নাম্বার।
কৌতুহল হলো -এখন কেমন আছে মেয়েটা? ইমরান হাশমির দেখা পেয়েছে কী? ও বলা হয়নি, মেয়েটা আবার সিরিয়াল কিসার ইমরান হাশমির ফ্যান। যেই ভাবা সেই কাজ। ফোন করলাম। ধরলো তার মা।
এরপর এক সময় ঠিকই ফোনে পেলাম মেরুনকে। এক বছরে কথাবার্তা অনেক বদলে গেছে। ইমরান হাশমি রেখে অর্নব আর যাত্রী'র গান শুনছে। কথা বলতে কেমন জানি ভাল লাগতে শুরু করলো।
দেখলাম মেরুনের পছন্দের সঙ্গে আমার পছন্দেরও কিছু মিল। এভাবেই কিছুদিন চলার পর বুঝে গেলাম ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। আমার আচরনে, কথায় বিত্রান্ত হচ্ছে। সে মনে করেছে আমি হয়তো তার প্রেমেই পড়ে গেছি।
স্যরি এজন্য আমার অপরাধটাও কম নয়। তোমার কথা বলা হয়নি মেরুনকে। আসলে বলি কী করে তুমিও তো তখন আমার এতোটা কাছের হয়ে উঠোনি। বুঝে গেলাম বিষয়টা আর বাড়তে দেয়া যায় না। সব খুলে বললাম মেরুনকে। তারপরও দ্বিধা কাটেনা মেয়েটার। দেখো আমি কতোটা নিষ্ঠুর এরপর আর যোগাযোগই করিনি মেয়েটার সঙ্গে। এজন্য আমাকে পুরোপুরি দায়ী করতে পারবেনা কেউ। কেননা, প্রতিশ্রুতি ভেঙ্গে মেয়েটা বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু হয়ে উঠতে চেয়েছিল আমার। আমি তো আমার জীবনটাকে এভাবে ভাবিনি কখনো!
হুম... কি ভাবছো এটুকু পড়ে?
না থামো।মুখে বলার প্রয়োজন নেই, আমিও তোমারই মতো দ্বিধায় পড়তে চাই আজ...