Friday, December 21, 2007
Saturday, December 15, 2007
তুমি ০৯
Offence is the best defence
তোমার কথা শুনে আমার এই কথাটাই মনে পড়লো! এটা কোথায় দেখেছি, শুনেছি কিংবা কে বলেছেন সেটা খুব একটা গুরুত্নপুর্ন নয় এখন! আমার কানে বাজছে তোমার কথা- 'তুমি কথা দিয়ো রাখোনি!'
কথাটা যে পুরোপুরি মিথ্যে তাও নয়! কিন্তু তোমার বলার ভঙ্গি দেখে মনে হলো মহা অন্যায় করে ফেলেছি আমি। অর্থটা আমি ঠিকই ধরে নিয়েছি, আমি যাতে উল্টো তোমাকে কিছু বলতে না পারি সে কারনেই এসব...
বাদ দাও, মনটা আজ খুব খারাপ সেটা কী তোমাকে আজ বলেছি?
শোন- বাজে একটা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমি। সম্ভবত সবাই! এতো অস্থিরতা, প্রতিকুলতা একপাশে সরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুত্রটা আসলে আমার মতো অনেকেরই জানা নেই। কিছুই করতে ভাল লাগেনা ইদানিং।
বিশ্বাস করো তোমার কথা শুনছি না কিংবা রাখতে পারছি না। যতোই দিন যাচ্ছে ক্লান্ত হয়ে উঠছি। মনে হচ্ছে কিছুতেই আর কিছু হবেনা !!!
গতকাল আয়েশার সাথে কথা হচ্ছিল। ও তোমাকে তো বলাই হয়নি আয়েশা আমার অনলাইন ফ্রেন্ড, জার্মানির। এমন clear concept মেয়ে কমই দেখেছি! অনলাইনে যতোই কথা হয়, অবাক হই আমি। ওর সাথে কথা হচ্ছিল আমাদের পারিবারিক কাঠামো আর আমাদের কালচার নিয়ে। মেয়েটা এই উপমহাদেশের অনেক কিছুই জানে! যেমনটা বলছিলো -তোমাদের ওখানে তো ইচ্ছে করলেই রাস্তায় একজন ছেলে আর মেয়ে জড়িয়ে ধরতে পারবো না! হাত ধরতে গেলেও তো সমস্যা!
আমি বলেছিলাম- ভুল বলোনি! এভাবেই বেড়ে উঠেছি আমরা। আমাদের এই সংস্কৃতিটা মন্দ নয়। কী বলো?
- সরাসরি আমি উত্তর দিতে রাজী নই। তবে আমার মনে হয় এটা শুধুই ভনিতা!
কী রকম?-
আসলে তোমার মন যেটা করতে চাইছে সেটা তুমি করতে পারছো না। ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক কিছু করতে হচ্ছে তোমাকে।
তুমি মনে হয় জানো না আমাদের পারিবারিক কাঠামো অনেক স্ট্রং !
-জানি! এর অর্থ এটা ধরে নেয়ার সুযোগ নেই আমাদের মায়েরা সন্তানদের প্রতি উদাসীন! শুনো পৃথীবির সব মা-ই মা, বুঝলে! হ্যা এটা সত্য আমাদের জীবনে আবেগের এতোটুকু স্থান নেই। তার বিনিময়ে আমরা তো অনেক কিছুই পাচ্ছি। আমি জেনেছি তোমাদের অনেক শিশুই রাতে না খেয়ে ঘুমুতে যায়। পড়াশুনা করার সুযোগও কিন্তু পাচ্ছেনা ওরা। আসলে কিছু পেতে হলে তোমাকে তো কিছু হারাতেই হবে!
এনিয়ে অনেক কথাই হচ্ছিল, সেসব আরেকদিন বলবো। বলবো জার্মানির এই মেয়েটির 'আয়েশা' হয়ে উঠার গল্পও। তোমার কথা বলো? এটা কি জানো তোমার এভাবে রেগে যাওয়াটা বেশ উপভোগ করি আমি। মাঝে মাঝে ভয়ও পেয়ে যাই।
আরেকটা কথা- ১৩ ডিসেম্বর কখনোই ভুলবো না! উল্টে পাল্টে যাক সবকিছু, তারপরও না।
ভালো থেকো...
তোমার কথা শুনে আমার এই কথাটাই মনে পড়লো! এটা কোথায় দেখেছি, শুনেছি কিংবা কে বলেছেন সেটা খুব একটা গুরুত্নপুর্ন নয় এখন! আমার কানে বাজছে তোমার কথা- 'তুমি কথা দিয়ো রাখোনি!'
কথাটা যে পুরোপুরি মিথ্যে তাও নয়! কিন্তু তোমার বলার ভঙ্গি দেখে মনে হলো মহা অন্যায় করে ফেলেছি আমি। অর্থটা আমি ঠিকই ধরে নিয়েছি, আমি যাতে উল্টো তোমাকে কিছু বলতে না পারি সে কারনেই এসব...
বাদ দাও, মনটা আজ খুব খারাপ সেটা কী তোমাকে আজ বলেছি?
শোন- বাজে একটা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমি। সম্ভবত সবাই! এতো অস্থিরতা, প্রতিকুলতা একপাশে সরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুত্রটা আসলে আমার মতো অনেকেরই জানা নেই। কিছুই করতে ভাল লাগেনা ইদানিং।
বিশ্বাস করো তোমার কথা শুনছি না কিংবা রাখতে পারছি না। যতোই দিন যাচ্ছে ক্লান্ত হয়ে উঠছি। মনে হচ্ছে কিছুতেই আর কিছু হবেনা !!!
গতকাল আয়েশার সাথে কথা হচ্ছিল। ও তোমাকে তো বলাই হয়নি আয়েশা আমার অনলাইন ফ্রেন্ড, জার্মানির। এমন clear concept মেয়ে কমই দেখেছি! অনলাইনে যতোই কথা হয়, অবাক হই আমি। ওর সাথে কথা হচ্ছিল আমাদের পারিবারিক কাঠামো আর আমাদের কালচার নিয়ে। মেয়েটা এই উপমহাদেশের অনেক কিছুই জানে! যেমনটা বলছিলো -তোমাদের ওখানে তো ইচ্ছে করলেই রাস্তায় একজন ছেলে আর মেয়ে জড়িয়ে ধরতে পারবো না! হাত ধরতে গেলেও তো সমস্যা!
আমি বলেছিলাম- ভুল বলোনি! এভাবেই বেড়ে উঠেছি আমরা। আমাদের এই সংস্কৃতিটা মন্দ নয়। কী বলো?
- সরাসরি আমি উত্তর দিতে রাজী নই। তবে আমার মনে হয় এটা শুধুই ভনিতা!
কী রকম?-
আসলে তোমার মন যেটা করতে চাইছে সেটা তুমি করতে পারছো না। ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক কিছু করতে হচ্ছে তোমাকে।
তুমি মনে হয় জানো না আমাদের পারিবারিক কাঠামো অনেক স্ট্রং !
-জানি! এর অর্থ এটা ধরে নেয়ার সুযোগ নেই আমাদের মায়েরা সন্তানদের প্রতি উদাসীন! শুনো পৃথীবির সব মা-ই মা, বুঝলে! হ্যা এটা সত্য আমাদের জীবনে আবেগের এতোটুকু স্থান নেই। তার বিনিময়ে আমরা তো অনেক কিছুই পাচ্ছি। আমি জেনেছি তোমাদের অনেক শিশুই রাতে না খেয়ে ঘুমুতে যায়। পড়াশুনা করার সুযোগও কিন্তু পাচ্ছেনা ওরা। আসলে কিছু পেতে হলে তোমাকে তো কিছু হারাতেই হবে!
এনিয়ে অনেক কথাই হচ্ছিল, সেসব আরেকদিন বলবো। বলবো জার্মানির এই মেয়েটির 'আয়েশা' হয়ে উঠার গল্পও। তোমার কথা বলো? এটা কি জানো তোমার এভাবে রেগে যাওয়াটা বেশ উপভোগ করি আমি। মাঝে মাঝে ভয়ও পেয়ে যাই।
আরেকটা কথা- ১৩ ডিসেম্বর কখনোই ভুলবো না! উল্টে পাল্টে যাক সবকিছু, তারপরও না।
ভালো থেকো...
Wednesday, December 5, 2007
তুমি ০৮
না, কানে ধরছি ! এবার একটু বুঝেশুনেই কথা বলবো।
তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো, কেন এই কথা বলছি। হাসছো কেন, এটা হাসির কথা হলো নাকি? আমি মরে যাচ্ছি আর তুমি...
গত কয়েকদিন অনেক কষ্ট করছি। সামান্য ঠান্ডা যে এতো ভোগাবে কে জানতো? সারাক্ষনই একটা অস্বস্তি। মনে হয় রাতেও জ্বর ছিল। কাল শেষ রাতে গায়ে কম্বল জড়ানোর পরও শীত কমেনি। অথচ কাথা গায়ে দেয়ার মতো শীত এখনো আসেনি। এখনো তো অগ্রাহায়ন শেষ হয়নি। এরপর পৌষ আর মাঘ- শীতকাল। শীত কাল মানেই তো অনেক স্মৃতি! মনে আছে তো সব?
ইদানিং তুমিও মনে হয় পাল্টে যেতে শুরু করেছো! আগের মতো তোমার কথায় তেমন আবেগ কোথায়? কথাটা ওইদিন বলতেই তুমি হাসলে! বিত্রান্ত করে দেয়া হাসি! অর্থটা কী দাড়ালো ঠিক বুঝিনি।
এসব বুঝতেও চাই না আর। এতো ঝামেলা আর কাধে নিতে চাইনা। তুমি তো জানো অনেক সমস্যায় আছি এ মুহুর্তে। এ মুহুর্তে এসে ভেবেছিলাম, জীবনটা অনেক সাজানো হয়ে যাবে। অনেক কিছুই লুটিয়ে পড়বে আমার পায়ে। অথচ দেখো এখনো বেঁচে থাকার জন্যই লড়ছি আমি। শুধু বেঁচে থাকার লড়াই!
বুঝতে পারছি, যে পথে পা বাড়িয়েছি লড়তে হবে বাকীটা জীবন! আসলে একটা কিছুর অভাব রয়ে গেছে, পুরন হবে না আর কখনো। দেখো তো তোমাকে কেন এতো ঝামেলার কথা শোনাচ্ছি? তুমিও তো কম চাপে নও। আমার মাথা গেছে...
তারপর বলো কেমন আছো? ধুর এটা কোন প্রশ্ন হলো? তারচেয়ে বলো গতকাল কী করলে। আমি অফিস- ঘুম এভাবেই কাটিয়েছি পুরোটা দিন। শোন, অরুপের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাকে মেইল করেছিল। বন্ধুদের সঙ্গে ইদানিং আর কথা বলতে ভাল লাগে না। সেই একই কথা -বিয়ে কর! সব ঠিক হয়ে যাবে। ক'দিন আগেও ঠিক এভাবে ভেবেছি আমি। এখন চিন্তায় পরিবর্তন এসেছে। সবকিছু ঠিক আগের মতো ভাবছি না। আমার ভাবনায় এখন আরো অনেক কিছু...
কী চিন্তায় পড়ে গেলে মনে হয়। কালও তো তোমাকে বলেছি চিন্তার কিছু নেই। আমি আগের মতোই আছি। দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রতীক্ষায় থেকো।
আমি বদলাই না কখনো!
তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো, কেন এই কথা বলছি। হাসছো কেন, এটা হাসির কথা হলো নাকি? আমি মরে যাচ্ছি আর তুমি...
গত কয়েকদিন অনেক কষ্ট করছি। সামান্য ঠান্ডা যে এতো ভোগাবে কে জানতো? সারাক্ষনই একটা অস্বস্তি। মনে হয় রাতেও জ্বর ছিল। কাল শেষ রাতে গায়ে কম্বল জড়ানোর পরও শীত কমেনি। অথচ কাথা গায়ে দেয়ার মতো শীত এখনো আসেনি। এখনো তো অগ্রাহায়ন শেষ হয়নি। এরপর পৌষ আর মাঘ- শীতকাল। শীত কাল মানেই তো অনেক স্মৃতি! মনে আছে তো সব?
ইদানিং তুমিও মনে হয় পাল্টে যেতে শুরু করেছো! আগের মতো তোমার কথায় তেমন আবেগ কোথায়? কথাটা ওইদিন বলতেই তুমি হাসলে! বিত্রান্ত করে দেয়া হাসি! অর্থটা কী দাড়ালো ঠিক বুঝিনি।
এসব বুঝতেও চাই না আর। এতো ঝামেলা আর কাধে নিতে চাইনা। তুমি তো জানো অনেক সমস্যায় আছি এ মুহুর্তে। এ মুহুর্তে এসে ভেবেছিলাম, জীবনটা অনেক সাজানো হয়ে যাবে। অনেক কিছুই লুটিয়ে পড়বে আমার পায়ে। অথচ দেখো এখনো বেঁচে থাকার জন্যই লড়ছি আমি। শুধু বেঁচে থাকার লড়াই!
বুঝতে পারছি, যে পথে পা বাড়িয়েছি লড়তে হবে বাকীটা জীবন! আসলে একটা কিছুর অভাব রয়ে গেছে, পুরন হবে না আর কখনো। দেখো তো তোমাকে কেন এতো ঝামেলার কথা শোনাচ্ছি? তুমিও তো কম চাপে নও। আমার মাথা গেছে...
তারপর বলো কেমন আছো? ধুর এটা কোন প্রশ্ন হলো? তারচেয়ে বলো গতকাল কী করলে। আমি অফিস- ঘুম এভাবেই কাটিয়েছি পুরোটা দিন। শোন, অরুপের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাকে মেইল করেছিল। বন্ধুদের সঙ্গে ইদানিং আর কথা বলতে ভাল লাগে না। সেই একই কথা -বিয়ে কর! সব ঠিক হয়ে যাবে। ক'দিন আগেও ঠিক এভাবে ভেবেছি আমি। এখন চিন্তায় পরিবর্তন এসেছে। সবকিছু ঠিক আগের মতো ভাবছি না। আমার ভাবনায় এখন আরো অনেক কিছু...
কী চিন্তায় পড়ে গেলে মনে হয়। কালও তো তোমাকে বলেছি চিন্তার কিছু নেই। আমি আগের মতোই আছি। দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রতীক্ষায় থেকো।
আমি বদলাই না কখনো!
Subscribe to:
Comments (Atom)
