Wednesday, October 31, 2007

তুমি ০৫

ইদানিং তোমার দুশ্চিন্তার অনেকগুলো কারন যোগ হয়েছে। কীভাবে সামাল দিবে সব? পারবে তো?
প্রশ্নটা শুনেই তুমি হাসলে। সেই চির চেনা হাসি...এক শব্দে উত্তর দিলে ‌'পারবো'
আমি জানি, তুমি ঠিকই পারবে। হুট করেই তুমি এমন হয়ে গেছো, যেমনটা আমি চেয়েছি সব সময়। একেবারে আমার মতো করেই সব কিছু ভাবছো তুমি। মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে এখন আমার চেয়েও বেশি সিরিয়াস হয়ে উঠেছো তুমি। সেই তুমি!
ইউনিভার্সিটি খুলেছে, তুমি হতাশ! কারনটা বুঝতে আমার কিছুটা দেরি হলো। হতাশ হলে কেন? প্রশ্নটা করে অবশ্য তোমার উত্তর পেলাম না। হাসি দিয়ে তুমি কী বুঝাতে চেয়েছো, সেটা বুঝলাম কিছুক্ষন পর। মানে দ্রুত সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে! আর তো মাত্র ৬ মাস, এরপরই ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে তোমাকে। তারপর শুরু হয়ে যাবে তোমার পরিবারের মানুষদের ব্যস্ততা। ওইদিন তো বললে এখনই শুরু হয়ে গেছে। তোমার জন্য ভাল একটা ছেলে খোঁজার চেস্টা করছে সবাই।
খবরটা শুনে প্রথমে হাসি পেলেও পরে মনটা প্রচন্ড খারাপ হতে থাকলো। প্রচন্ড খারাপ। অন্যরকম কিছু ভাবতেই পারছি না।
তুমি শুনে বললে - কে তোমাকে ভাবতে বলেছে? বিয়ের কথা হওয়া মানে তো আর বিয়ে হয়ে যাওয়া নয়।
তা আমি নিজেও বুঝি। কিন্তু তুমি সেজেসুজে কারো সামনে যাবে, কথা হবে। এসব আমি সহ্য করতে পারবো না।
- এটুকু তো এখন সহ্য করতেই হবে। শুনো আমি এখন যেমন আছি পরেও এমন থাকবো। একটুও চিন্তা করবে না। আমি তোমাকে নিয়েই ভেবে রেখেছি সব। আমার মনের ওপর নিয়ন্ত্রন শুধু আমারই, অন্য কারো নয়।
ইদানিং তোমার মতো অনেকগুলো দুশ্চিন্তা আমাকেও ছুঁয়ে ফেলছে! অনুভুতি শুন্য মানুষ হয়ে থাকতে পারছি না। আচমকা অনেক হিসেব নিকেশ করতে চাইছে এই মন। প্রশ্রয় দিচ্ছিনা ,তারপরও।
কী জানি আমি সামলে উঠতে পারবো তো সবকিছু?

Saturday, October 27, 2007

তুমি ০৪

তুমি কাঁদছো! তোমার মনটা আজ খুব ,খুবই খারাপ -খবরটা শোনার পর থেকেই স্তব্ধ হয়ে আছি। কিছুই করতে ভাল লাগছে না। কিছুক্ষন বসে ছিলাম টেলিভিশনের সামনে। চোখ টিভি পর্দায়, কিন্তু মন পড়ে অন্য কোথাও। জানি না কী হয়েছে আমার। এখন আমি আর কী করতে পারি। এতো দুরে থেকে কিছু করারও যে সুযোগ নেই।
তাড়াহুড়ো করে দুই মিনিট কথা বললে। কথার চেয়ে কান্নার শব্দটাই বেশি আসলে আমার কানে! আমি শুধু একটা কথাই বলতে পারলাম তোমাকে- দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে।
কেন কাঁদছিলে, কেন তোমার আকাশ ঝেপে বৃষ্টি নেমেছে, জানতে পারিনি। তুমি শুধু বললে - পরে বলবো।
ফোনটা রেখে দেয়ার পর থেকেই অস্বস্তিতে আছি। তোমার মতো ওভাবে হু হু করে কাঁদতে পারলেই হয়তো ভাল লাগতো। বুঝতে পারছি না কিছুই। গলার কাছে যেন কষ্ট আটকে আছে! সেই কষ্ট কান্না হয়ে কখন যে ঝরে পড়বে?
মন খারাপ থাকলে তুমি কী করো সেটা তো ওইদিনই বললে। আমি কী করি জানো? মন আরো খারাপ করে দেই। গান শুনি। গান শুনতে শুনতেই এক সময় শব্দ করে কেঁদে উঠে আমার ভেতরের অন্য এক আমি। আমার কথা ও শুনে না। অবুঝের মতো কেঁদে যায়। থামতেই চায় না চোখের সেই বৃষ্টি...

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

তুমি ০৩

অথচ এখন এই আমিই সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রতীক্ষায় থাকি, কখন কথা বলা যাবে তোমার সাথে। তুমি সেটা জেনে গেছো বলেই হয়তো তোমার ফোন কলেই ঘুম ভাঙ্গে আমার। নিচু গলায় কথা বলি দুজন...
আজ সকালেও ভাবছিলাম কখন বেজে উঠবে আমার সেল ফোন। বিছানাতে শুয়ে যখন আমি প্রতীক্ষায়, তখনই নতুন সেট করা রিং টোন বেজে উঠলো। শুয়ে থেকেই হাত বাড়িয়ে মোবাইলটা তুলে নিলাম। না, এটা তোমার নাম্বার না। কিংবা হতেও পারে। জুবায়ের ভাইয়ের নাম্বার থেকেও তো মাঝে মধ্যে কথা বলো। হতে পারে ভেবেই কল রিসিভ করে ধাক্কা খেলাম।
অপর প্রান্ত থেকে একজন বলে উঠলেন- ভাই আমার নিউজটা কি ছাপা হইছে?
মেজাজটা এতো খারাপ হয়েছে যে কী উত্তর দেবো ভাবছি।
ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললাম- কে আপনি ,কিসের নিউজ?
- ভাই আমি আমজাদ, ওই যে কাল যে পুরান ঢাকায় প্রেফতারের একটা নিউজ দিয়ে আসলাম আপনার কাছে।
এবার মেজাজ খারাপের পারদটা আরো উপরে। তারপরও তোমাকে দেয়া কথা মতো রাগটা চেপে রাখলাম। বললাম ভাই নিউজটা আমি লিখে নিউজ এডিটরকে দিয়ে দিয়েছি ; ছাপা হওয়া না হওয়া সেটা আমার ব্যাপার না।
এ কথা বলেই লোকটা কি বলে সে সুযোগ দেইনি।
ফোনটা কেটে দিলেও মনটা খারাপ হয়ে আছে। আজ দিনটা কেমন যায় কে জানে? আচ্ছা তুমি কি করছিলে এতোক্ষন? কেন ঘুম ভাঙালে না আজ? এ কথাটা কি আবারো বলে দিতে হবে যে সকালে উঠে তোমার সঙ্গেই প্রথম কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে আমার...

তুমি ০০৩

অথচ এখন এই আমিই সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রতীক্ষায় থাকি, কখন কথা বলা যাবে তোমার সাথে। তুমি সেটা জেনে গেছো বলেই হয়তো তোমার ফোন কলেই ঘুম ভাঙ্গে আমার। নিচু গলায় কথা বলি দুজন...
আজ সকালেও ভাবছিলাম কখন বেজে উঠবে আমার সেল ফোন। বিছানাতে শুয়ে যখন আমি প্রতীক্ষায়, তখনই নতুন সেট করা রিং টোন বেজে উঠলো। শুয়ে থেকেই হাত বাড়িয়ে মোবাইলটা তুলে নিলাম। না, এটা তোমার নাম্বার না। কিংবা হতেও পারে। জুবায়ের ভাইয়ের নাম্বার থেকেও তো মাঝে মধ্যে কথা বলো। হতে পারে ভেবেই কল রিসিভ করে ধাক্কা খেলাম।
অপর প্রান্ত থেকে একজন বলে উঠলেন- ভাই আমার নিউজটা কি ছাপা হইছে?
মেজাজটা এতো খারাপ হয়েছে যে কী উত্তর দেবো ভাবছি।
ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললাম- কে আপনি ,কিসের নিউজ?
- ভাই আমি আমজাদ, ওই যে কাল যে পুরান ঢাকায় প্রেফতারের একটা নিউজ দিয়ে আসলাম আপনার কাছে।
এবার মেজাজ খারাপের পারদটা আরো উপরে। তারপরও তোমাকে দেখা কথা মতো রাগটা চেপে রাখলাম। বললাম ভাই নিউজটা আমি লিখে নিউজ এডিটরকে দিয়ে দিয়েছি ; ছাপা হওয়া না হওয়া সেটা আমার ব্যাপার না।
এ কথা বলেই লোকটা কি বলে সে সুযোগ দেইনি।
ফোনটা কেটে দিলেও মনটা খারাপ হয়ে আছে। আজ দিনটা কেমন যায় কে জানে? আচ্ছা তুমি কি করছিলে এতোক্ষন? এ কথাটা কি আবারো বলে দিতে হবে যে সকালে উঠে প্রথম কথাটা তোমার সঙ্গেই বলতে খুব ইচ্ছে করে আমার...

Wednesday, October 24, 2007

তুমি ০২

শীত কী এসেই গেলো নাকি। কি জানি! শেষরাতে কাল বৃষ্টি নেমেছিল হয়তো। জানালা খোলা ছিল। হয়তো বৃষ্টির ছাট এসে লেগেছিল গায়ে।
শীত ভাল না লাগলেও ভাললাগার এই তুমি এক শীতেই এসেছিলে। আমার স্মৃতি একটুও প্রতারণা করছে না; সব মনে আছে এখনো। হয়তো তোমারও।

eita tomar gaan-ch...

তুমি ০১

পাঁচদিন হলো তোমাকে দেখি না। আবার দেখিও!
একটু আগে হিসেব করলাম, তোমায় শেষ দেখেছি পাঁচদিন আগে। শেষ বিকেলে তোমার মুখের হাসি বলে দিচ্ছিল অনেক কথা। তোমার চোখের ভাষাটাও পড়ে নিয়েছিলাম। প্রতিবারই চলে আসার সময় এমন করো কেন তুমি? ইচ্ছে ছিল, তারপরও থাকা হয়নি।
অবশ্য একটুও মিস করছি না তোমাকে। সব সময় তুমি তো আমার কাছেই থাকছো।
এভাবে যেমন আর কখনো ভালবাসোনি, কাছেও থাকোনি এভাবে আর!
বিশ্বাস করো তোমার প্রতিটি নিশ্বাসই যেনো গায়ে এসে লাগে আমার। প্রতি মুহুর্তে টের পাই তোমার অস্তিত্ব।
(অসম্পুর্ন)

তুমি

এনিয়ে আজ ৫ বার কথা হলো তোমার সঙ্গে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়নি এখনো। শোবার আগে আরো কতোবার যে কথা হয় কে জানে!হোক, যতো বেশি হবে ততোই ভালা লাগা ছুঁয়ে যাবে আমাকে। তোমার প্রতীক্ষাতেই তো থাকি সারাক্ষন।
তুমি আরো আগে এভাবে আসলে না কেন? জানি এমন প্রশ্ন অবান্তর। করছিও না। আমি অতীতের বদলে বর্তমান আর ভবিষ্যত নিয়েই ভাবছি এখন। ভাবছি তোমাকে নিয়ে। এভাবে কখনোই কাউকে চাইনি আর। আমার মনটা এমন সৎ হয়ে উঠেনি কখনো।
এভাবেই চলছে গত ১৫ দিন। চলতে দিতে চাই পুরোটা জীবন। বেশ আছি... তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে মন চাইছে না।
তুমি লিখেছো- সারাক্ষনই নাকি তোমার ভাবনায় আমি। আমাকে ছাড়া নাকি চলবে না তোমার। সমস্যার পাহাড় সামনে, তারপরও তুমি আমাকেই চাইছো। শুধু আমাকে। খুব বেশি পাগলামি করছো...
তাতে কী। আমিও বেশ উপভোগ করছি এসব। তোমার সব, সবকিছু ভাল লাগছে। আমারো আর কিছু চাই না।
মোবাইল বাজছে, আমি নিশ্চিত তুমিই।
এতোক্ষন তো তোমারই প্রতীক্ষায় ছিলাম...

এইতো আমি...

এখন মনে হচ্ছে সবকিছই আরোপিত! নিজের সঙ্গে নিজে অভিনয় করা যাওয়া! বেশ কিছুদিন ধরেই নিজেকে অনুভুতি শুন্য একজন মানুষ হিসেবে দাড় করানোর চেস্টা করছি। সেটা সেই চেস্টা হয়েই থাকছে। এখন যেন আগের চেয়ে আরো আবেগ, অনুভুতি প্রখর হয়ে উঠেছে আরো। এই যেমন এখন মনটা বিষন্ন হয়ে আছে!
* অসম্পুর্ন (পরে এক সময় শেষ করবো)

Friday, October 5, 2007

শৈশব স্মৃতি মধুর, কারণ তখন কোন শৈশবের স্মৃতি ছিলনা...
রাজুর ছোট ভাইকে দেখে কেমন যেন নষ্টালজিয়ায় পড়ে গেলাম ওইদিন। চলে গেলাম আট কিংবা তারও বেশি পেছনে। মনে মনে ভাবছিলাম আহারে কিছুদিন আগে এই বয়সটাতো আমারো ছিল। ঠিক ওর মতোই ছিপছিপে গড়নের দেখতে।
যায় দিন ভাল যায় বলে নয়

Thursday, October 4, 2007

iiii

শৈশব স্মৃতি মধুর, কারণ তখন কোন শৈশবের স্মৃতি ছিলনা...

শৈশব স্মৃতি মধুর, কারণ তখন কোন শৈশবের স্মৃতি ছিলনা...
রাজুর ছোট ভাইকে দেখে কেমন যেন নষ্টালজিয়ায় পড়ে গেলাম ওইদিন। চলে গেলাম আট কিংবা তারও বেশি পেছনে। মনে মনে ভাবছিলাম আহারে কিছুদিন আগে এই বয়সটাতো আমারো ছিল। ঠিক ওর মতোই ছিপছিপে গড়নের দেখতে।
যায় দিন ভাল যায় বলে নয় এমনিতেও ওই সময়গুলো

Monday, October 1, 2007

পরি উড়ে গেছে ; আছে শুধুই কল্পনা !

ঠিক করেছিলাম প্রতিদিন কিছু হলেও লিখবো। পারছি না! ইদানিং সব কিছুই কেমন জানি হচ্ছে। পরিকল্পনা করছি, অথচ বাস্তবায়ন নেই।
আমার সব কিছুই এমন। একটা কাজও এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক করা হয়ে উঠেনি।
এবার ঠিক করেছি সব কথা গুছিয়ে লিখে রাখবো এখানে। নতুন করে পরিকল্পনা করছি। পরিকল্পনার পরি না উড়ে গেলেই হয়...