ইদানিং তোমার দুশ্চিন্তার অনেকগুলো কারন যোগ হয়েছে। কীভাবে সামাল দিবে সব? পারবে তো?
প্রশ্নটা শুনেই তুমি হাসলে। সেই চির চেনা হাসি...এক শব্দে উত্তর দিলে 'পারবো'।
আমি জানি, তুমি ঠিকই পারবে। হুট করেই তুমি এমন হয়ে গেছো, যেমনটা আমি চেয়েছি সব সময়। একেবারে আমার মতো করেই সব কিছু ভাবছো তুমি। মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে এখন আমার চেয়েও বেশি সিরিয়াস হয়ে উঠেছো তুমি। সেই তুমি!
ইউনিভার্সিটি খুলেছে, তুমি হতাশ! কারনটা বুঝতে আমার কিছুটা দেরি হলো। হতাশ হলে কেন? প্রশ্নটা করে অবশ্য তোমার উত্তর পেলাম না। হাসি দিয়ে তুমি কী বুঝাতে চেয়েছো, সেটা বুঝলাম কিছুক্ষন পর। মানে দ্রুত সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে! আর তো মাত্র ৬ মাস, এরপরই ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে তোমাকে। তারপর শুরু হয়ে যাবে তোমার পরিবারের মানুষদের ব্যস্ততা। ওইদিন তো বললে এখনই শুরু হয়ে গেছে। তোমার জন্য ভাল একটা ছেলে খোঁজার চেস্টা করছে সবাই।
খবরটা শুনে প্রথমে হাসি পেলেও পরে মনটা প্রচন্ড খারাপ হতে থাকলো। প্রচন্ড খারাপ। অন্যরকম কিছু ভাবতেই পারছি না।
তুমি শুনে বললে - কে তোমাকে ভাবতে বলেছে? বিয়ের কথা হওয়া মানে তো আর বিয়ে হয়ে যাওয়া নয়।
তা আমি নিজেও বুঝি। কিন্তু তুমি সেজেসুজে কারো সামনে যাবে, কথা হবে। এসব আমি সহ্য করতে পারবো না।
- এটুকু তো এখন সহ্য করতেই হবে। শুনো আমি এখন যেমন আছি পরেও এমন থাকবো। একটুও চিন্তা করবে না। আমি তোমাকে নিয়েই ভেবে রেখেছি সব। আমার মনের ওপর নিয়ন্ত্রন শুধু আমারই, অন্য কারো নয়।
ইদানিং তোমার মতো অনেকগুলো দুশ্চিন্তা আমাকেও ছুঁয়ে ফেলছে! অনুভুতি শুন্য মানুষ হয়ে থাকতে পারছি না। আচমকা অনেক হিসেব নিকেশ করতে চাইছে এই মন। প্রশ্রয় দিচ্ছিনা ,তারপরও।
কী জানি আমি সামলে উঠতে পারবো তো সবকিছু?
Wednesday, October 31, 2007
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

No comments:
Post a Comment