Friday, December 21, 2007

তুমি ১০

ইদদদদদ... ( অসম্পুর্ন , পড়ে লিখব)

Saturday, December 15, 2007

তুমি ০৯

Offence is the best defence
তোমার কথা শুনে আমার এই কথাটাই মনে পড়লো! এটা কোথায় দেখেছি, শুনেছি কিংবা কে বলেছেন সেটা খুব একটা গুরুত্নপুর্ন নয় এখন! আমার কানে বাজছে তোমার কথা- 'তুমি কথা দিয়ো রাখোনি!'
কথাটা যে পুরোপুরি মিথ্যে তাও নয়! কিন্তু তোমার বলার ভঙ্গি দেখে মনে হলো মহা অন্যায় করে ফেলেছি আমি। অর্থটা আমি ঠিকই ধরে নিয়েছি, আমি যাতে উল্টো তোমাকে কিছু বলতে না পারি সে কারনেই এসব...
বাদ দাও, মনটা আজ খুব খারাপ সেটা কী তোমাকে আজ বলেছি?
শোন- বাজে একটা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমি। সম্ভবত সবাই! এতো অস্থিরতা, প্রতিকুলতা একপাশে সরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুত্রটা আসলে আমার মতো অনেকেরই জানা নেই। কিছুই করতে ভাল লাগেনা ইদানিং।
বিশ্বাস করো তোমার কথা শুনছি না কিংবা রাখতে পারছি না। যতোই দিন যাচ্ছে ক্লান্ত হয়ে উঠছি। মনে হচ্ছে কিছুতেই আর কিছু হবেনা !!!
গতকাল আয়েশার সাথে কথা হচ্ছিল। ও তোমাকে তো বলাই হয়নি আয়েশা আমার অনলাইন ফ্রেন্ড, জার্মানির। এমন clear concept মেয়ে কমই দেখেছি! অনলাইনে যতোই কথা হয়, অবাক হই আমি। ওর সাথে কথা হচ্ছিল আমাদের পারিবারিক কাঠামো আর আমাদের কালচার নিয়ে। মেয়েটা এই উপমহাদেশের অনেক কিছুই জানে! যেমনটা বলছিলো -তোমাদের ওখানে তো ইচ্ছে করলেই রাস্তায় একজন ছেলে আর মেয়ে জড়িয়ে ধরতে পারবো না! হাত ধরতে গেলেও তো সমস্যা!
আমি বলেছিলাম- ভুল বলোনি! এভাবেই বেড়ে উঠেছি আমরা। আমাদের এই সংস্কৃতিটা মন্দ নয়। কী বলো?
- সরাসরি আমি উত্তর দিতে রাজী নই। তবে আমার মনে হয় এটা শুধুই ভনিতা!
কী রকম?-
আসলে তোমার মন যেটা করতে চাইছে সেটা তুমি করতে পারছো না। ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক কিছু করতে হচ্ছে তোমাকে।
তুমি মনে হয় জানো না আমাদের পারিবারিক কাঠামো অনেক স্ট্রং !
-জানি! এর অর্থ এটা ধরে নেয়ার সুযোগ নেই আমাদের মায়েরা সন্তানদের প্রতি উদাসীন! শুনো পৃথীবির সব মা-ই মা, বুঝলে! হ্যা এটা সত্য আমাদের জীবনে আবেগের এতোটুকু স্থান নেই। তার বিনিময়ে আমরা তো অনেক কিছুই পাচ্ছি। আমি জেনেছি তোমাদের অনেক শিশুই রাতে না খেয়ে ঘুমুতে যায়। পড়াশুনা করার সুযোগও কিন্তু পাচ্ছেনা ওরা। আসলে কিছু পেতে হলে তোমাকে তো কিছু হারাতেই হবে!
এনিয়ে অনেক কথাই হচ্ছিল, সেসব আরেকদিন বলবো। বলবো জার্মানির এই মেয়েটির 'আয়েশা' হয়ে উঠার গল্পও। তোমার কথা বলো? এটা কি জানো তোমার এভাবে রেগে যাওয়াটা বেশ উপভোগ করি আমি। মাঝে মাঝে ভয়ও পেয়ে যাই।
আরেকটা কথা- ১৩ ডিসেম্বর কখনোই ভুলবো না! উল্টে পাল্টে যাক সবকিছু, তারপরও না।
ভালো থেকো...

Wednesday, December 5, 2007

তুমি ০৮

না, কানে ধরছি ! এবার একটু বুঝেশুনেই কথা বলবো।
তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো, কেন এই কথা বলছি। হাসছো কেন, এটা হাসির কথা হলো নাকি? আমি মরে যাচ্ছি আর তুমি...
গত কয়েকদিন অনেক কষ্ট করছি। সামান্য ঠান্ডা যে এতো ভোগাবে কে জানতো? সারাক্ষনই একটা অস্বস্তি। মনে হয় রাতেও জ্বর ছিল। কাল শেষ রাতে গায়ে কম্বল জড়ানোর পরও শীত কমেনি। অথচ কাথা গায়ে দেয়ার মতো শীত এখনো আসেনি। এখনো তো অগ্রাহায়ন শেষ হয়নি। এরপর পৌষ আর মাঘ- শীতকাল। শীত কাল মানেই তো অনেক স্মৃতি! মনে আছে তো সব?
ইদানিং তুমিও মনে হয় পাল্টে যেতে শুরু করেছো! আগের মতো তোমার কথায় তেমন আবেগ কোথায়? কথাটা ওইদিন বলতেই তুমি হাসলে! বিত্রান্ত করে দেয়া হাসি! অর্থটা কী দাড়ালো ঠিক বুঝিনি।
এসব বুঝতেও চাই না আর। এতো ঝামেলা আর কাধে নিতে চাইনা। তুমি তো জানো অনেক সমস্যায় আছি এ মুহুর্তে। এ মুহুর্তে এসে ভেবেছিলাম, জীবনটা অনেক সাজানো হয়ে যাবে। অনেক কিছুই লুটিয়ে পড়বে আমার পায়ে। অথচ দেখো এখনো বেঁচে থাকার জন্যই লড়ছি আমি। শুধু বেঁচে থাকার লড়াই!
বুঝতে পারছি, যে পথে পা বাড়িয়েছি লড়তে হবে বাকীটা জীবন! আসলে একটা কিছুর অভাব রয়ে গেছে, পুরন হবে না আর কখনো। দেখো তো তোমাকে কেন এতো ঝামেলার কথা শোনাচ্ছি? তুমিও তো কম চাপে নও। আমার মাথা গেছে...
তারপর বলো কেমন আছো? ধুর এটা কোন প্রশ্ন হলো? তারচেয়ে বলো গতকাল কী করলে। আমি অফিস- ঘুম এভাবেই কাটিয়েছি পুরোটা দিন। শোন, অরুপের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাকে মেইল করেছিল। বন্ধুদের সঙ্গে ইদানিং আর কথা বলতে ভাল লাগে না। সেই একই কথা -বিয়ে কর! সব ঠিক হয়ে যাবে। ক'দিন আগেও ঠিক এভাবে ভেবেছি আমি। এখন চিন্তায় পরিবর্তন এসেছে। সবকিছু ঠিক আগের মতো ভাবছি না। আমার ভাবনায় এখন আরো অনেক কিছু...
কী চিন্তায় পড়ে গেলে মনে হয়। কালও তো তোমাকে বলেছি চিন্তার কিছু নেই। আমি আগের মতোই আছি। দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রতীক্ষায় থেকো।
আমি বদলাই না কখনো!

Saturday, November 24, 2007

তুমি ০৭

পরে কথা হবে। জানো তো শনিবারে সময় কিভাবে কেটে যায় টেরও পাইনা। এত্তো কাজ! বিরক্ত হয়ে উঠছি। কিছুক্ষন তোমার সাথে কথা বলতে পারলে ভাল লাগতো। রিফ্রেশ হয়ে উঠতাম।
সে সুযোগ তো আর নেই। তুমি কোথায়, কোন দেশে আছো কে জানে?
আজ হয়েছে কী শুনো-অনেক দিন পর স্বর্নার খোজ নিতে গিয়ে উল্টো ঝামেলায় পড়েছি। ছেলেমানুষী সব কাজকারবার। আপনি এটা করলেন কেন? আপনি এটা করলেন না কেন? এটা কী ঠিক হয়েছে?এমন হাজারো প্রশ্ন। তুমি তো জানো কৈফিয়ত দেয়াটা একেবারেই পছন্দ নয় আমার। আমার জীবন যেভাবে ইচ্ছে এগিয়ে যাবে, তাতে কার কী? ভাল লাগেনা এইসব।
একটু পর অর্নিকে ফোন করে মনটা খুব, খুব খারাপ হয়ে গেলো। টেলিফোনের অপর প্রান্ত থেকে ওর গলা শুনেই বুঝে গেলাম - অসুস্থ। কথা বলতেই কষ্ট হচ্ছিল ওর! এতো প্রানবন্ত কেউ এভাবে চুপ হয়ে গেলে একেবারেই ভালো লাগেনা। সারাদিন নাকি বিছানাতেই শুয়ে আছে। সোজা হয়ে দাড়াতে পারছে না! তারপরও অর্নির অনুরোধ 'কাল একবার দেখা কর আমার সাথে। তোর তো ডে অফ, ইচ্ছে করলেই পারবি। অনেক কথা আছে। কতোদিন হলো তোকে দেখিনা। আসবি তো?'
-রাতে জানাবো বলে ফোন রেখে দিলাম।
স্বর্না আর অর্নি দুজনই আমার খুব ভালো বন্ধু। তাদের নিয়ে আরো কথা আরেক দিন বলবো।
ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে আমার। বুঝেছো তো শনিবার, রেহাই নেই!রাত ১২ পর্যন্ত এভাবেই চলবে।
তোমার এসব ভেবে কাজ নেই। এখন গান শুনো। লোপামুদ্রার গান...

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

Tuesday, November 6, 2007

তুমি ০৬

কথা কম হলেই কী ভালবাসা কমে যায়?
তোমার এমন প্রশ্নের জবাবে আমারও পাল্টা প্রশ্ন- কী আমার আচরনে এমন কিছু পেলে নাকি?
কি জানি!
-তোমার কন্ঠ শুনে মনে হলো দ্বিধায় পড়ে গেছো।
আমি এই কাজটা সবসময়ই দক্ষ ভাবে করে যাচ্ছি। মানুষকে কতো সহজে দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছি। সেটা যে পুরোটা ইচ্ছেকৃত তা নয়। মেরুনের কথা কী তোমাকে বলেছিলাম? যদি বলে থাকি তারপরও আবার শোনো-
হুট করেই একদিন অনলাইনের ওর সঙ্গে পরিচয়। ইয়াহু চ্যাটিংয়ে যেমনটা হয়- মেয়েদের আইডি দেখলেই হাই হ্যালো একটা কিছু করি। ফারজানা মেরুন আইডি দেখে তাই করলাম। সাড়া পেলাম অনেকক্ষন পর। এক কথা দুই কথা হলো। এভাবে কী মনে করে জানি মেয়েটা তার ফোন নম্বর আমাকে দিলো। কথাও হলো। কিন্তু আহামরী কিছু মনে হলো না। উল্টো মেয়েটো যখন আমাকে ৫০ টাকা ফ্লেক্সি লোড করতে বললো, তখন বুঝে গেলাম ভুল জায়গায় নক করেছি আমি। কিন্তু আমি কেমন সেটা তো তুমি জানো- দেখে নিতে চাইছিলাম মেয়েটির পরিকল্পনা!ঠিকই ১০০ টাকা পাঠালাম। এরপর ফোন করে মেয়েটা থ্যাংকস, টেংকস বললো।ভাইয়া টাকাটা আমার দরকার ছিল, না হলে অনেক বিপদে পড়ে যেতাম ইত্যাদি ইত্যাদি... শোনলাম আর মনে মনে স্থির করলাম- ফারজানা মেরুন তোমাকে গুডবাই।
এসব ২০০৬ এর ঘটনা। এক বছর পেরিয়ে যখন ২০০৭ তখন হুট করেই মেয়েটির কথা মনে পড়ে গেলো। মনে পড়ে গেলো না বলে বলা উচিত মনে করিয়ে দিলো আমার পুরনো সেল ফোন। নতুন সেল ফোন নেয়ার পর যখন নাম্বার গুলো উঠাচ্ছিলাম তখনই দেখলাম আবার ফারজানা মেরুনের নাম্বার।
কৌতুহল হলো -এখন কেমন আছে মেয়েটা? ইমরান হাশমির দেখা পেয়েছে কী? ও বলা হয়নি, মেয়েটা আবার সিরিয়াল কিসার ইমরান হাশমির ফ্যান। যেই ভাবা সেই কাজ। ফোন করলাম। ধরলো তার মা।
এরপর এক সময় ঠিকই ফোনে পেলাম মেরুনকে। এক বছরে কথাবার্তা অনেক বদলে গেছে। ইমরান হাশমি রেখে অর্নব আর যাত্রী'র গান শুনছে। কথা বলতে কেমন জানি ভাল লাগতে শুরু করলো।
দেখলাম মেরুনের পছন্দের সঙ্গে আমার পছন্দেরও কিছু মিল। এভাবেই কিছুদিন চলার পর বুঝে গেলাম ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। আমার আচরনে, কথায় বিত্রান্ত হচ্ছে। সে মনে করেছে আমি হয়তো তার প্রেমেই পড়ে গেছি।
স্যরি এজন্য আমার অপরাধটাও কম নয়। তোমার কথা বলা হয়নি মেরুনকে। আসলে বলি কী করে তুমিও তো তখন আমার এতোটা কাছের হয়ে উঠোনি। বুঝে গেলাম বিষয়টা আর বাড়তে দেয়া যায় না। সব খুলে বললাম মেরুনকে। তারপরও দ্বিধা কাটেনা মেয়েটার। দেখো আমি কতোটা নিষ্ঠুর এরপর আর যোগাযোগই করিনি মেয়েটার সঙ্গে। এজন্য আমাকে পুরোপুরি দায়ী করতে পারবেনা কেউ। কেননা, প্রতিশ্রুতি ভেঙ্গে মেয়েটা বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু হয়ে উঠতে চেয়েছিল আমার। আমি তো আমার জীবনটাকে এভাবে ভাবিনি কখনো!
হুম... কি ভাবছো এটুকু পড়ে?
না থামো।মুখে বলার প্রয়োজন নেই, আমিও তোমারই মতো দ্বিধায় পড়তে চাই আজ...

Wednesday, October 31, 2007

তুমি ০৫

ইদানিং তোমার দুশ্চিন্তার অনেকগুলো কারন যোগ হয়েছে। কীভাবে সামাল দিবে সব? পারবে তো?
প্রশ্নটা শুনেই তুমি হাসলে। সেই চির চেনা হাসি...এক শব্দে উত্তর দিলে ‌'পারবো'
আমি জানি, তুমি ঠিকই পারবে। হুট করেই তুমি এমন হয়ে গেছো, যেমনটা আমি চেয়েছি সব সময়। একেবারে আমার মতো করেই সব কিছু ভাবছো তুমি। মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে এখন আমার চেয়েও বেশি সিরিয়াস হয়ে উঠেছো তুমি। সেই তুমি!
ইউনিভার্সিটি খুলেছে, তুমি হতাশ! কারনটা বুঝতে আমার কিছুটা দেরি হলো। হতাশ হলে কেন? প্রশ্নটা করে অবশ্য তোমার উত্তর পেলাম না। হাসি দিয়ে তুমি কী বুঝাতে চেয়েছো, সেটা বুঝলাম কিছুক্ষন পর। মানে দ্রুত সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে! আর তো মাত্র ৬ মাস, এরপরই ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে তোমাকে। তারপর শুরু হয়ে যাবে তোমার পরিবারের মানুষদের ব্যস্ততা। ওইদিন তো বললে এখনই শুরু হয়ে গেছে। তোমার জন্য ভাল একটা ছেলে খোঁজার চেস্টা করছে সবাই।
খবরটা শুনে প্রথমে হাসি পেলেও পরে মনটা প্রচন্ড খারাপ হতে থাকলো। প্রচন্ড খারাপ। অন্যরকম কিছু ভাবতেই পারছি না।
তুমি শুনে বললে - কে তোমাকে ভাবতে বলেছে? বিয়ের কথা হওয়া মানে তো আর বিয়ে হয়ে যাওয়া নয়।
তা আমি নিজেও বুঝি। কিন্তু তুমি সেজেসুজে কারো সামনে যাবে, কথা হবে। এসব আমি সহ্য করতে পারবো না।
- এটুকু তো এখন সহ্য করতেই হবে। শুনো আমি এখন যেমন আছি পরেও এমন থাকবো। একটুও চিন্তা করবে না। আমি তোমাকে নিয়েই ভেবে রেখেছি সব। আমার মনের ওপর নিয়ন্ত্রন শুধু আমারই, অন্য কারো নয়।
ইদানিং তোমার মতো অনেকগুলো দুশ্চিন্তা আমাকেও ছুঁয়ে ফেলছে! অনুভুতি শুন্য মানুষ হয়ে থাকতে পারছি না। আচমকা অনেক হিসেব নিকেশ করতে চাইছে এই মন। প্রশ্রয় দিচ্ছিনা ,তারপরও।
কী জানি আমি সামলে উঠতে পারবো তো সবকিছু?

Saturday, October 27, 2007

তুমি ০৪

তুমি কাঁদছো! তোমার মনটা আজ খুব ,খুবই খারাপ -খবরটা শোনার পর থেকেই স্তব্ধ হয়ে আছি। কিছুই করতে ভাল লাগছে না। কিছুক্ষন বসে ছিলাম টেলিভিশনের সামনে। চোখ টিভি পর্দায়, কিন্তু মন পড়ে অন্য কোথাও। জানি না কী হয়েছে আমার। এখন আমি আর কী করতে পারি। এতো দুরে থেকে কিছু করারও যে সুযোগ নেই।
তাড়াহুড়ো করে দুই মিনিট কথা বললে। কথার চেয়ে কান্নার শব্দটাই বেশি আসলে আমার কানে! আমি শুধু একটা কথাই বলতে পারলাম তোমাকে- দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে।
কেন কাঁদছিলে, কেন তোমার আকাশ ঝেপে বৃষ্টি নেমেছে, জানতে পারিনি। তুমি শুধু বললে - পরে বলবো।
ফোনটা রেখে দেয়ার পর থেকেই অস্বস্তিতে আছি। তোমার মতো ওভাবে হু হু করে কাঁদতে পারলেই হয়তো ভাল লাগতো। বুঝতে পারছি না কিছুই। গলার কাছে যেন কষ্ট আটকে আছে! সেই কষ্ট কান্না হয়ে কখন যে ঝরে পড়বে?
মন খারাপ থাকলে তুমি কী করো সেটা তো ওইদিনই বললে। আমি কী করি জানো? মন আরো খারাপ করে দেই। গান শুনি। গান শুনতে শুনতেই এক সময় শব্দ করে কেঁদে উঠে আমার ভেতরের অন্য এক আমি। আমার কথা ও শুনে না। অবুঝের মতো কেঁদে যায়। থামতেই চায় না চোখের সেই বৃষ্টি...

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

তুমি ০৩

অথচ এখন এই আমিই সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রতীক্ষায় থাকি, কখন কথা বলা যাবে তোমার সাথে। তুমি সেটা জেনে গেছো বলেই হয়তো তোমার ফোন কলেই ঘুম ভাঙ্গে আমার। নিচু গলায় কথা বলি দুজন...
আজ সকালেও ভাবছিলাম কখন বেজে উঠবে আমার সেল ফোন। বিছানাতে শুয়ে যখন আমি প্রতীক্ষায়, তখনই নতুন সেট করা রিং টোন বেজে উঠলো। শুয়ে থেকেই হাত বাড়িয়ে মোবাইলটা তুলে নিলাম। না, এটা তোমার নাম্বার না। কিংবা হতেও পারে। জুবায়ের ভাইয়ের নাম্বার থেকেও তো মাঝে মধ্যে কথা বলো। হতে পারে ভেবেই কল রিসিভ করে ধাক্কা খেলাম।
অপর প্রান্ত থেকে একজন বলে উঠলেন- ভাই আমার নিউজটা কি ছাপা হইছে?
মেজাজটা এতো খারাপ হয়েছে যে কী উত্তর দেবো ভাবছি।
ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললাম- কে আপনি ,কিসের নিউজ?
- ভাই আমি আমজাদ, ওই যে কাল যে পুরান ঢাকায় প্রেফতারের একটা নিউজ দিয়ে আসলাম আপনার কাছে।
এবার মেজাজ খারাপের পারদটা আরো উপরে। তারপরও তোমাকে দেয়া কথা মতো রাগটা চেপে রাখলাম। বললাম ভাই নিউজটা আমি লিখে নিউজ এডিটরকে দিয়ে দিয়েছি ; ছাপা হওয়া না হওয়া সেটা আমার ব্যাপার না।
এ কথা বলেই লোকটা কি বলে সে সুযোগ দেইনি।
ফোনটা কেটে দিলেও মনটা খারাপ হয়ে আছে। আজ দিনটা কেমন যায় কে জানে? আচ্ছা তুমি কি করছিলে এতোক্ষন? কেন ঘুম ভাঙালে না আজ? এ কথাটা কি আবারো বলে দিতে হবে যে সকালে উঠে তোমার সঙ্গেই প্রথম কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে আমার...

তুমি ০০৩

অথচ এখন এই আমিই সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রতীক্ষায় থাকি, কখন কথা বলা যাবে তোমার সাথে। তুমি সেটা জেনে গেছো বলেই হয়তো তোমার ফোন কলেই ঘুম ভাঙ্গে আমার। নিচু গলায় কথা বলি দুজন...
আজ সকালেও ভাবছিলাম কখন বেজে উঠবে আমার সেল ফোন। বিছানাতে শুয়ে যখন আমি প্রতীক্ষায়, তখনই নতুন সেট করা রিং টোন বেজে উঠলো। শুয়ে থেকেই হাত বাড়িয়ে মোবাইলটা তুলে নিলাম। না, এটা তোমার নাম্বার না। কিংবা হতেও পারে। জুবায়ের ভাইয়ের নাম্বার থেকেও তো মাঝে মধ্যে কথা বলো। হতে পারে ভেবেই কল রিসিভ করে ধাক্কা খেলাম।
অপর প্রান্ত থেকে একজন বলে উঠলেন- ভাই আমার নিউজটা কি ছাপা হইছে?
মেজাজটা এতো খারাপ হয়েছে যে কী উত্তর দেবো ভাবছি।
ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললাম- কে আপনি ,কিসের নিউজ?
- ভাই আমি আমজাদ, ওই যে কাল যে পুরান ঢাকায় প্রেফতারের একটা নিউজ দিয়ে আসলাম আপনার কাছে।
এবার মেজাজ খারাপের পারদটা আরো উপরে। তারপরও তোমাকে দেখা কথা মতো রাগটা চেপে রাখলাম। বললাম ভাই নিউজটা আমি লিখে নিউজ এডিটরকে দিয়ে দিয়েছি ; ছাপা হওয়া না হওয়া সেটা আমার ব্যাপার না।
এ কথা বলেই লোকটা কি বলে সে সুযোগ দেইনি।
ফোনটা কেটে দিলেও মনটা খারাপ হয়ে আছে। আজ দিনটা কেমন যায় কে জানে? আচ্ছা তুমি কি করছিলে এতোক্ষন? এ কথাটা কি আবারো বলে দিতে হবে যে সকালে উঠে প্রথম কথাটা তোমার সঙ্গেই বলতে খুব ইচ্ছে করে আমার...

Wednesday, October 24, 2007

তুমি ০২

শীত কী এসেই গেলো নাকি। কি জানি! শেষরাতে কাল বৃষ্টি নেমেছিল হয়তো। জানালা খোলা ছিল। হয়তো বৃষ্টির ছাট এসে লেগেছিল গায়ে।
শীত ভাল না লাগলেও ভাললাগার এই তুমি এক শীতেই এসেছিলে। আমার স্মৃতি একটুও প্রতারণা করছে না; সব মনে আছে এখনো। হয়তো তোমারও।

eita tomar gaan-ch...

তুমি ০১

পাঁচদিন হলো তোমাকে দেখি না। আবার দেখিও!
একটু আগে হিসেব করলাম, তোমায় শেষ দেখেছি পাঁচদিন আগে। শেষ বিকেলে তোমার মুখের হাসি বলে দিচ্ছিল অনেক কথা। তোমার চোখের ভাষাটাও পড়ে নিয়েছিলাম। প্রতিবারই চলে আসার সময় এমন করো কেন তুমি? ইচ্ছে ছিল, তারপরও থাকা হয়নি।
অবশ্য একটুও মিস করছি না তোমাকে। সব সময় তুমি তো আমার কাছেই থাকছো।
এভাবে যেমন আর কখনো ভালবাসোনি, কাছেও থাকোনি এভাবে আর!
বিশ্বাস করো তোমার প্রতিটি নিশ্বাসই যেনো গায়ে এসে লাগে আমার। প্রতি মুহুর্তে টের পাই তোমার অস্তিত্ব।
(অসম্পুর্ন)

তুমি

এনিয়ে আজ ৫ বার কথা হলো তোমার সঙ্গে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়নি এখনো। শোবার আগে আরো কতোবার যে কথা হয় কে জানে!হোক, যতো বেশি হবে ততোই ভালা লাগা ছুঁয়ে যাবে আমাকে। তোমার প্রতীক্ষাতেই তো থাকি সারাক্ষন।
তুমি আরো আগে এভাবে আসলে না কেন? জানি এমন প্রশ্ন অবান্তর। করছিও না। আমি অতীতের বদলে বর্তমান আর ভবিষ্যত নিয়েই ভাবছি এখন। ভাবছি তোমাকে নিয়ে। এভাবে কখনোই কাউকে চাইনি আর। আমার মনটা এমন সৎ হয়ে উঠেনি কখনো।
এভাবেই চলছে গত ১৫ দিন। চলতে দিতে চাই পুরোটা জীবন। বেশ আছি... তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে মন চাইছে না।
তুমি লিখেছো- সারাক্ষনই নাকি তোমার ভাবনায় আমি। আমাকে ছাড়া নাকি চলবে না তোমার। সমস্যার পাহাড় সামনে, তারপরও তুমি আমাকেই চাইছো। শুধু আমাকে। খুব বেশি পাগলামি করছো...
তাতে কী। আমিও বেশ উপভোগ করছি এসব। তোমার সব, সবকিছু ভাল লাগছে। আমারো আর কিছু চাই না।
মোবাইল বাজছে, আমি নিশ্চিত তুমিই।
এতোক্ষন তো তোমারই প্রতীক্ষায় ছিলাম...

এইতো আমি...

এখন মনে হচ্ছে সবকিছই আরোপিত! নিজের সঙ্গে নিজে অভিনয় করা যাওয়া! বেশ কিছুদিন ধরেই নিজেকে অনুভুতি শুন্য একজন মানুষ হিসেবে দাড় করানোর চেস্টা করছি। সেটা সেই চেস্টা হয়েই থাকছে। এখন যেন আগের চেয়ে আরো আবেগ, অনুভুতি প্রখর হয়ে উঠেছে আরো। এই যেমন এখন মনটা বিষন্ন হয়ে আছে!
* অসম্পুর্ন (পরে এক সময় শেষ করবো)

Friday, October 5, 2007

শৈশব স্মৃতি মধুর, কারণ তখন কোন শৈশবের স্মৃতি ছিলনা...
রাজুর ছোট ভাইকে দেখে কেমন যেন নষ্টালজিয়ায় পড়ে গেলাম ওইদিন। চলে গেলাম আট কিংবা তারও বেশি পেছনে। মনে মনে ভাবছিলাম আহারে কিছুদিন আগে এই বয়সটাতো আমারো ছিল। ঠিক ওর মতোই ছিপছিপে গড়নের দেখতে।
যায় দিন ভাল যায় বলে নয়

Thursday, October 4, 2007

iiii

শৈশব স্মৃতি মধুর, কারণ তখন কোন শৈশবের স্মৃতি ছিলনা...

শৈশব স্মৃতি মধুর, কারণ তখন কোন শৈশবের স্মৃতি ছিলনা...
রাজুর ছোট ভাইকে দেখে কেমন যেন নষ্টালজিয়ায় পড়ে গেলাম ওইদিন। চলে গেলাম আট কিংবা তারও বেশি পেছনে। মনে মনে ভাবছিলাম আহারে কিছুদিন আগে এই বয়সটাতো আমারো ছিল। ঠিক ওর মতোই ছিপছিপে গড়নের দেখতে।
যায় দিন ভাল যায় বলে নয় এমনিতেও ওই সময়গুলো

Monday, October 1, 2007

পরি উড়ে গেছে ; আছে শুধুই কল্পনা !

ঠিক করেছিলাম প্রতিদিন কিছু হলেও লিখবো। পারছি না! ইদানিং সব কিছুই কেমন জানি হচ্ছে। পরিকল্পনা করছি, অথচ বাস্তবায়ন নেই।
আমার সব কিছুই এমন। একটা কাজও এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক করা হয়ে উঠেনি।
এবার ঠিক করেছি সব কথা গুছিয়ে লিখে রাখবো এখানে। নতুন করে পরিকল্পনা করছি। পরিকল্পনার পরি না উড়ে গেলেই হয়...